চাকরি জীবন ও প্রাইভেট প্রাকটিস

চাকরি জীবন ও প্রাইভেট প্রাকটিস

Size
Price:

Read more »

 


ডা. মতিউর রহমান চাকরি করেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। ১৯৮৭ সন থেকে ২০১৯ সন পর্যন্ত সরকারি চাকরি করছেন। ইউনিয়ন সাব-সেন্টার, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন তিনি। অবসরে গেছেন সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসাবে। জাজিরা, নিকলী, ঈশ্বরগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর, বাগেরহাট, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি করে তিনি বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার জন্য তাকে সরকারি চাকরির পাশাপাশি প্রাইভেট প্রাকটিস করতে হয়েছে। প্রাইভেট প্রাকটিস আপাতদৃষ্টিতে সোজা কাজ মনে হলেও বাস্তবে তা সোজা কাজ নয়। একজন ডাক্তারের প্রাইভেট প্রাকটিসে বাধা হয় দূর্গম স্থানে বদলী। বদলী হলে প্রাইভেট প্রাকটিস আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। প্রাইভেট প্রাকটিস একসময় জমে। বদলী হলে আবার শূন্যের কোঠায় চলে যায়। এমন করেই একজন সরকারি চাকরিজীবী ডাক্তারকে প্রাইভেট প্রাকটিস চালিয়ে যেতে হয়।
দূর্গম স্থানে চাকরি ডা. মতিউর রহমানের জীবনে এনেছিল দুঃখবোধ ও হতাশা। দুঃখবোধ ও হতাশার কথা  তুলে ধরা  হয়েছে এই পুস্তকে। কাঙ্ক্ষিত স্থানে বদলী হওয়ার জন্য যা লাগে তা তার ছিল না। ভালো জায়গায় পোস্টিং পাওয়ার জন্য তিনি ঘুরেছেন অনেকের পিছনে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। টাকা হয়েছিল কাঙ্ক্ষিত স্থানে তার বদলীর নিয়ামক।  ভাটি অঞ্চল ও নদীবিধৌত অঞ্চলের বর্ণনা আছে তার লেখায়। তার কষ্ট, তার হতাশা বিধৃত হয়েছে এই পুস্তকে। একজন চাকরিজীবীকে চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। একজন ডাক্তার চান কর্মস্থলের নিরাপত্তা। তার চাকরিকালীন সময়ে তার কর্মস্থল কেমন ছিল, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বইটিতে। বর্ণনা আছে ভাটি বাঙলার। বর্ণনা আছে তার সময় হাসপাতালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার। আশাকরি পুস্তকখানা আপনাদের ভালো লাগবে।



0 Reviews


যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *