Read more »
লেখক : আজমেরিনা শাহানী
মূল্য : ২৬০ টাকা
একটুখানি পড়ুন
গাধূলির আবীর মেখে আলো নিভে আসা প্রদীপের মত মৃদু হেসে পলাতক সময়ের হাতে নিজেকে সমর্পণ করে রাতের নির্জনতায় আশ্রয় নিতে চাইছে ক্লান্ত সূর্য। নীড়ে ফেরা পাখির কলতানে শেষ এসেছে সন্ধ্যা নামার সকল আয়োজন।ঐ দূর মসজিদ থেকে ভেসে আসছে মুয়াজ্জিনের সুমুধুর আযানের ধ্বনি। দিনান্তের সকল আয়োজন সাঙ্গ করে ঐ দূর আকাশের নিঃসীম আঁধারের গায়ে চলছে হাজারো নক্ষত্র এ নক্ষত্রপুঞ্জের আলোর পসরা সাজানোর গোপন প্রস্তুতি। হাসনাহেনা আর বেলীর সুবাসমাখা নৈশ বাতাস জোনাকি জ্বলা অন্ধকারের বুকে এক অন্যরকম মাদকতা তৈরি করে চলেছে...।
মুক্তেশ্বরীর তীর ঘেঁষে যে কাঁচাপাকা রাস্তাটা গ্রামের দিকে বয়ে গেছে,সেখানে এখন থমথমে নীরবতা বিরাজ করছে।দু,একজন পথচারী যারা সূর্যের আলো ফোটার আগেই জীবিকার অন্বেষনে শহরের দিকে ছুটে যান,তারা বুঝি এতক্ষনে ঘরে ফিরছেন।তাদের পরষ্পরের মধ্যকার আলাপের গুঞ্জন স্বল্প আভাসে বাতাসে ভেসে আসছে।তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকা ছোট ছোট টর্চের আলো হঠাৎ জ্বলে উঠছে আর তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।মুক্তেশ্বরী নদীটির পূর্ব দিকে রয়েছে সবুজ শ্যামলীমায় ভরা সারি সারি শস্যক্ষেত আর বিস্তীর্ন গ্রাম।সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দারাই খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।তাদের বেশির ভাগই কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে,আবার অনেকে আছেন যারা নদী পার হয়ে এপারের গঞ্জে এসে বিভিন্ন ধরনের ভাসমান কাজ করেন আবার দিন শেষে ঘরে ফিরে যান।এমনই কিছু মেহনতি মানুষ সারাদিনের কর্মক্লান্তি শেষে আপন নীড়ে ফিরছেন।
0 Reviews